কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের মিশ্র টিকাকরণের প্রতিক্রিয়া কী হবে? এই প্রশ্নের জবাব জানতে এবার ভেলোরে অবস্থিত ক্রিশ্চান মেডিকাল কলেজে পরীক্ষা চালানো হবে। এই পরীক্ষআর আবেদন আগেই জানানো হয়েছিল দক্ষিণের এই হাসপাতালের তরফে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার মিশ্র টিকাকরণ নিয়ে পরীক্ষার অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।
এর আগে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গনাইজেশনের 'সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি' এই মিশ্র টিকাকরণের পরামর্শ দেয় ২৯ জুলাই। সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি সিএমসি ভেলোরকে প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর চতুর্থ দফার ট্রায়ালের অনুমতি দেয়। এরপর এবার এই পরীক্ষার জন্য বুজ সংকেত দেখাল দেশে সর্বোচ্চ ওষুধ নিমায়ক সংস্থা। আইসিএমআর-এও এর আগে মিশ্র টিকাকরণ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেই গবেষণার ফল কয়েকদিন আগেই প্রকাশ করে আইসিএমআর। রিপোর্টে ভ্যাকসিনের মিলিত প্রয়োগ অনেক বেশি কার্যকরী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সিএমসিতে হতে চলা এই ট্রায়াল সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
এই ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে, এক ব্যক্তিকে প্রয়োজনে দুটি আলাদা আলাদা টিকার ডোজ দেওয়া যাবে কিনা। আর এই মিশ্র টিকাকরণের কার্যকারিতাও খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। এর আগে কোভ্যাক্সিন এবং ভারত বায়োটেকেরই তৈরি ন্যাজাল করোনা টিকার মিশ্র প্রয়োগের পরীক্ষার বিষয়টিকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল 'সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি'। এই পরীক্ষা নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডিসিজিআই।
এর আগে আইসিএমআর-এর মিশ্র টিকাকরণের পরীক্ষায় ১৮ জনের শরীরে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড করোনার দুটি ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এর পর তাঁদের শরীরের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা চালায় আইসিএমআর। সেই গবেষণাতেই দুই ভ্যাকসিনের মিলিত প্রয়োগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।