মেনে চলেছেন সোশ্যাল ডিসটেন্সিং, নিয়েছেন ভ্য়াকসিন, পরেছেন মাস্ক, তারপরও শরীরে দানা বেঁধেছে করোনা। এমন ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটতে শুরু করেছে। এই জায়গা থেকে প্রশ্ন উঠছে, যাবতীয় কোভিড বিধি মানা সত্ত্বেও তাহলে কী করে ছড়াচ্ছে করোনা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করেছে আমেরিকান কন্ফারেন্স অফ গভর্নমেন্টাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাইজিনিস্ট। তাদের গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
যেভাবে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে করোনার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ,তাতে প্রশ্ন উঠছে কোভিড বিধি পালন নিয়েও। এই জায়গা থেকে আমেরিকান কন্ফারেন্স অফ গভর্নমেন্টাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাইজিনিস্ট-এর একটি গবেষণা বলছে, ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এন ৯৫ মাস্কই একমাত্র কার্যকরী ফল দিতে পারে। করোনার থেকে দূরে থাকতে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারে এই মাস্ক। গবেষণাপত্র বলছে, যদি আক্রান্ত রোগী মাস্ক না পরে থাকেন, তাহলে তাঁর থেকে রোগ ছড়াতে আড়াই ঘণ্টা সময় নেয়। যদি করোনা আক্রান্ত রোগী ও আশপাশের ব্যক্তি এন ৯৫ মাস্ক পরে থাকেন, তাহলে রোগ ছড়াতে ২৫ ঘণ্টা সময় নেয়। গবেষণা আরও বলছে, যে কাপড়ের মাস্কের থেকে অনেক বেশি নিরাপত্তা দেয় সার্জিক্যাল মাস্ক। যদি দেখা যায়, করোনা রোগী মাস্ক পরে নেই, অথচ দ্বিতীয় ব্যক্তিটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরে রয়েছেন, তাহলে ভাইরাস ছড়াতে ৩০ মিনিট সময় নেবে।
এই গবেষণায় কাপড়ের মাস্ক নিয়ে কার্যত সতর্কবার্তা উঠে এসেছে। গবেষণা বলছে, যদি করোনা আক্রান্ত রোগী এবং তাঁর কাছে থাকা ব্যক্তি মাস্ক না পরেন, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে ১৫ মিনিটে। যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি সেক্ষেত্রে কাপড়ের মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষকরা বলছেন যদি করোনা ভ্যারিয়েন্ট প্রবলভাবে সংক্রামক হয়, তাহলে কাপড়ের মাস্ক বা সার্জিক্যাল মাস্কে সেভাবে কাজ হবে না। উল্লেখ্য, বর্তমানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রবলভাবে সংক্রামক বলে উঠে আসছে। সেই জায়গা থেকে, এই নয়া গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।