আইনের শাসনই সম্ভবত আধুনিক সংবিধানগুলির সবচেয়ে মৌলিক বৈশিষ্ট, আর তার সাফল্য নির্ভর করে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে কী ভাবে তার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় বিচার বিভাগ।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টে ‘বিচার বিভাগ ও পরিবর্তনশীল বিশ্ব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বিচারপতি সম্মেলনে তাঁর ভাষণে এই বার্তা দিলেন প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে।
সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের উপরে ন্যস্ত মৌলিক কর্তব্যের বিষয়টি প্রায়শই গুরুত্বের বিচারে অবহেলিত হয়ে থাকে। সংবিধান কর্তৃক আরোপিত নাগরিক দায়িত্ব এবং সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্ব পাওয়া উচিত।’
তাঁর মতে, পঞ্চাশটিরও বেশি রাষ্ট্রের সংবিধানে নাগরিক কর্তব্যের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লিখিত রয়েছে। মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে বোবডে বলেন, কর্তব্য পালনের ফল হিসেবেই আসল অধিকার অর্জন করা যায়।
ভাষণে বোবডে আরও বলেন, ‘প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সূত্রে বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি কোনা এখন পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। এই ধরনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে গোটা বিশ্বের বিচার ব্যবস্থা, যাকে বলা চলে অধিকারের বিপ্লব, প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং সেই সঙ্গে জাতিগত বিপ্লব। আমাদের সিদ্ধান্ত এখন শুধুমাত্র আমাদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্গতরা নন, তার চেয়েও বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।’
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এই বিশাল সম্মেলনে ২০টিরও বেশি রাষ্ট্রের বিচারপতিরা অংশগ্রহণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বোবডে বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থায় লিঙ্গসাম্য, গোপনীয়তা, পরিবেশ, জনস্বার্থ এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন সংক্রান্ত সুবিচারের বিষয়ে পরস্পরের মত আদান-প্রদান এবং জ্ঞান বৃদ্ধি এই সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।