ত্রিপুরায় উপনির্বাচনের ঠিক মুখে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন সুদীপবাবু। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সুদীপ রায় বর্মনের ওপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছে কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, রবিবার আগরতলায় কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের বাড়িতে আচমকাই হামলা চালানো হয়। সুদীপ রায় বর্মন এবারে ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের মুখে তাঁর বাড়িতে এভাবে হামলা হওয়ায় স্বভাবতই ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় মাথায় ও মুখে আঘাত পেয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন। তাঁকে আইএলএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। অন্য এফআইআরটি পুলিশের তরফেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের তরফে অবশ্য কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
তবে গোটা ঘটনা ঘটানোর পিছনে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে ঘটনার নিন্দা করে টুইটে বলা হয়েছে, ‘ফ্যাসিস্ট বিজেপির হাতেই আক্রান্ত হয়েছেন জনগনের নেতা সুদীপ রায় বর্মন। সাড়ে চার বছরে পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার পর বিজেপি সরকার শুধু রাজনৈতিক হিংসাই ছড়াতে শুরু করেছে। সময় এসে গিয়েছে। এবার রাজ্যের মানুষ এর জবাব দেবে।’ ঘটনার পর নিন্দায় সরব প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার এই হামলার পিছনে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির এই মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপি আসলে একটা গুণ্ডাদের দল হয়ে গিয়েছে। ত্রিপুরার মানুষই ঠিক করবে, এই ধরনের রাজনীতি তাঁরা চাইছিল কিনা।