ত্রিপুরায় বিজেপি যখন ছেড়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ তখন অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কিন্তু দেখা যায় সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল উপনির্বাচনের ফলাফলে তা প্রমাণিত হল। আগরতলা আসনে জিতে কংগ্রেসের মুখরক্ষা করলেন বিজেপি ছেড়ে আসা সুদীপ রায় বর্মণ। বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ফিরে আসেন পুরনো দলে। উপনির্বাচনে কংগ্রেসের তুরুপের তাস ছিলেন তিনিই। জিতলেনও।
কেমন জয় পেলেন সুদীপ? আজ, রবিবার গণনা শেষে দেখা যায়, আগরতলা আসন থেকে সুদীপ রায় বর্মণ পেয়েছেন ১৭,২৪১ ভোট। বিজেপি প্রার্থী অশোক সিনহাকে তিনি হারিয়েছেন ৩১৬৩টি ভোটে। যা কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়েছে। ত্রিপুরায় ক্রমাগত ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে কংগ্রেস। সেখানে সুদীপ রায় বর্মণ জিতে কংগ্রেসকে নতুন করে লড়াই করার অক্সিজেন দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
কী বলছেন জয়ী সুদীপ? উপনির্বাচনে জিতে সুদীপ রায় বর্মন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই জয় রাজ্যের উপরে বিশাল প্রভাব বিস্তার করবে। আমার এলাকার ভোটদাতাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের কাছে আমি চিরঋণী। স্ফুলিঙ্গকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সেই স্ফুলিঙ্গই সবকিছু জ্বালিয়ে দিতে পারে। আর এটাও একটা স্ফুলিঙ্গ। যা গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে।’
তাহলে সমীকরণটা কেমন দাঁড়াল? এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট বিজেপি বিরোধী হাওয়া আগরতলায় রয়েছে। যা সুদীপের পালে লেগেছে। যেটা তৃণমূল কংগ্রেস ধরতে পারেনি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুদীপের ফলাফল কংগ্রেসকে লড়াই করতে বাড়তি অক্সিজেন দেবে। আর সেটা হলে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলই বিপাকে পড়বে। এখন কংগ্রেস এখানে মরিয়া হয়ে আন্দোলনের শক্তি পেয়ে গেল। ফলে কংগ্রেস ভাঙন এখানে ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।