চিনে করোনাভাইরাসে ১১০০ জন মারা গেলেও ভারতে এখনও সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি এই মারণ রোগ। মাত্র তিনজন এই রোগে আক্রান্ত ভারতে। কিন্তু তারপরেও খুব বেশিরকম আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের। সামান্য সর্দি কাশিকেই করোনাভাইরাস ভেবে আত্মহত্যা করে বসলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তি।
বছর পঞ্চাশের এই ব্যক্তিকে গাছের ওপর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবার। চিত্তুর জেলার থোট্টামবেডু ব্লকে চাষের কাজ করতেন এই ব্যক্তি। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রিপোর্ট পড়ে ও ভিডিও দেখে প্রচন্ড আতঙ্কিত ছিলেন তিনি।
তিরুপতিতে চিকিত্সার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পর থেকেই পরিবারের লোকদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন তিনি, জানিয়েছেন তার ছেলে। তাঁর মনে হয়েছিল যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনি। এই জন্য কেউ কাছে আসতে চাইলে তাঁদের ঢিল ছুঁড়ে মারছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেন প্রৌঢ়। পরে তাঁর মায়ের সমাধির কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ মেলে।
ভদ্রলোকের ছেলে জানিয়েছেন যে এক তারিখ থেকে জ্বর-কাশিতে ভুগছিলেন তিনি। পরে হাসপাতালে গেলে চিকিত্সকরা বলেন যে তাঁর মুত্রনালিতে ইনফেকশন হয়েছে। তাঁকে ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তিরুপতির ডাক্তাররা। কিন্তু উপসর্গ না কমায় ক্রমশই বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর মনে হয় যে নির্ঘাত করোনাভাইরাস হয়েছে। বাকিরা বোঝাতে চাইলেও কিছুতেই শুনতে চাননি তিনি। পরিবারের লোকদের বাঁচানোর জন্য আত্মহত্যা করেন মধ্য বয়সী মানুষ, জানিয়েছে ছেলে। এই বিষয় কোনও পুলিশ তদন্ত করা হচ্ছে না, বলে জানা গিয়েছে।