Share Market sugar stocks: রপ্তানি ব্যান কেন্দ্রের! বুধবার ধস নামল চিনি কোম্পানিগুলির শেয়ারে

দেশে চিনির অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা এবং দাম স্থির রাখার লক্ষ্যে, ১ জুন থেকে চিনি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রপ্তানি কমলে যে চিনি সংস্থাগুলির আয় কিছুটা কমবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই আশঙ্কা থেকেই চিনির শেয়ার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

ফাইল ছবি(এডিটেড): রয়টার্স (Reuters)

অভ্যন্তরীণ বাজারে টান। জোগান বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি রোধে কেন্দ্র সরকার ১ জুন থেকে চিনি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আর তার একদিন পরেই, বুধবার চিনির শেয়ারে ধস। ১২-১৩% করে পতন হয়েছে বড় বড় চিনি সংস্থার শেয়ারে।

কতটা করে পড়েছে, তার নমুনা

ডালমিয়া ভারত সুগার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ১৩.৩০%, দ্বারিকেশ সুগার ৯.৩৮%, উত্তম সুগার মিলস ৯.৩০% এবং বলরামপুর সুগার মিলস BSE-তে ৮.৫৬% কমেছে।

এছাড়াও, অবধ সুগার অ্যান্ড এনার্জি ৮.০৪%, শ্রী রেনুকা সুগারস ৬.৬৯% এবং মাওয়ানা সুগারস ৪.৯৭% হ্রাস পেয়েছে।

এই পতন বেশ প্রত্যাশিতই ছিল

'আগামী ১ জুন থেকে চিনির রপ্তানি (কাঁচা, পরিশোধিত এবং সাদা চিনি), সীমাবদ্ধ বিভাগের অধীনে রাখা হবে,' মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (DGFT)।

এক বিবৃতিতে, সরকার বলেছে জানিয়েছে যে, চিনির মরসুমে ২০২১-২২ (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) দেশে চিনির অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা এবং দাম স্থির রাখার লক্ষ্যে, ১ জুন থেকে চিনি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রপ্তানি কমলে যে চিনি সংস্থাগুলির আয় কিছুটা কমবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই আশঙ্কা থেকেই চিনির শেয়ার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবারের ঘোষণার পর থেকেই এর প্রত্যাশা করেছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। শেষমেশ হলও তাই। বৃহস্পতিবারও এই ধারা কিছুটা বজায় থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।