শুভেন্দুর পরেই শাহি দরবারে সুকান্ত মজুমদার, কী কথা হল অমিত শাহের সঙ্গে?

সম্প্রতি বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এবারের সফরে এসে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরেও গিয়েছিলেন। সেখানে বাছাই করা কয়েকজন বিজেপি নেতার সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেছিলেন।

কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সেদিন একই গাড়িতে দেখা গিয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে। ফাইল ছবি (ANI Photo) (Shyamal Maitra)

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বুধবার দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবারই শাহি দরবারে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর দিনই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত। কিন্তু কী নিয়ে কথা হল দুজনের?

সূত্রের খবর, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও নালিশ করা হয়েছে অমিত শাহের কাছে। রাজ্যে হিংসা বাড়ছে বলেও জানানো হয়েছে তাঁকে। তবে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, অমিত শাহ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে গোটাটাই জানেন। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষক নিয়োগ থেকে আবাস যোজনায় অনিয়ম সমস্ত বিষয়গুলিই জানানো হয়েছে অমিত শাহকে।

এদিকে সম্প্রতি বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এবারের সফরে এসে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরেও গিয়েছিলেন। সেখানে বাছাই করা কয়েকজন বিজেপি নেতার সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেছিলেন। দল সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেও কিছু টিপস দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেও বিজেপির তাবড় নেতারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে আনেন।

তবে বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন , দলের পরিস্থিতি, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে জানানো হয়েছে। দুর্নীতির ব্য়াপারে জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের যারা সাপোর্টার তারা আগের মতোই আছেন। হয়তো পৌঁছন যায়নি। যত তাড়়াতাড়ি সম্ভব তাদের কাছে পৌঁছনর চেষ্টা করুন। সব খবর আছে তাঁর কাছে। এমনটাই জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।

তার কয়েকদিনের মধ্যেই এবার একেবারে দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিকে মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, 'আমি ওঁনাকে জানিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর নির্দেশে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা সাজাচ্ছেন এবং আমার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছেন কয়েকজন আইপিএস অফিসার। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে (আমার বিরুদ্ধে) যে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেছেন অমিতজি।'