বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Sultanpuri Woman Death: সুলতানপুরীর ভয়ানক দুর্ঘটনায় নয়া মোড়! অঞ্জলি কাণ্ডে জড়িত আরও দুই, দাবি পুলিশের

Sultanpuri Woman Death: সুলতানপুরীর ভয়ানক দুর্ঘটনায় নয়া মোড়! অঞ্জলি কাণ্ডে জড়িত আরও দুই, দাবি পুলিশের

সুলতানপুরীর দুর্ঘটনায় আরও দুই জড়িত বলে দাবি পুলিশের (ছবি - এএনআই)

ইতিমধ্যেই গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। দুর্ঘটনা ঘটনানো গাড়িটি মারুতি সুজুকি বলেনো।

দিল্লির সুলতানপুরী দুর্ঘটনা কাণ্ডে আরও দুই জন জড়িত বলে আজ দাবি করল পুলিশ। এই ঘটনায় আগেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এবার ধৃতদের জেরা করে পুলিশ আরও দুই ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছে। স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) সাগর প্রীত হুডা জানান, দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। এর আগে অঞ্জলির মৃত্যুতে তাদের ভূমিকার জন্য রবিবার সকালে পুলিশ অমিত খান্না (বয়স ২৫ বছর), দীপক খান্না (বয়স ২৬ বছর), মিঠুন (বয়স ২৬ বছর), কৃষাণ (বয়স ২৭ বছর) এবং মনোজ মিত্তালকে (বয়স ২৭ বছর) গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ক্রেডিট কার্ড এজেন্ট, একজন গাড়ির চালক এবং এক রেশন দোকানের মালিক রয়েছে। তাদের জেরা করেই আশুতোশ ও অঙ্কুশের নাম জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাসে মহিলা যাত্রীর সামনে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন করে কান্না ব্যক্তির! ভাইরাল ভিডিয়ো)

উল্লেখ্য, বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরীতে একটি স্কুটারকে ধাক্কা মেরেছিল একটি গাড়ি। এরপর স্কুটার আরোহী তরুণীর পা আটকে গিয়েছিল গাড়ির নীচে। সেই অবস্থাতেই তরুণীকে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ছেঁছড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। ইতিমধ্যেই গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। দুর্ঘটনা ঘটনানো গাড়িটি মারুতি সুজুকি বলেনো। কাঞ্ঝাওয়ালা এলাকায় তরুণীর দেহটি গাড়িটি থেকে আলাদা হয়। এদিকে অভিযুক্তদের দাবি, একটি স্কুটি তাদের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। তবে তারা নাকি বুঝতে পারেনি যে তাদের গাড়ির নীচে তরুণীর দেহ আটকে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা দিল্লিতে, পরপর ৬টি গাড়িতে ধাক্কা মারল পুলিশ কর্তার সুইফ্ট

এদিকে সামনে এসেছে মৃত অঞ্জলির ময়নাদন্তের রিপোর্ট। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের একটি বোর্ড অঞ্জলির দেহের ময়নাতদন্ত করে। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ময়নাতদন্তের সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তাতে স্পষ্টতই লেখা, মৃতার যৌনাঙ্গে কোনও ক্ষত নেই। যার অর্থ, যৌন হেনস্থার শিকার হননি অঞ্জলি। তবে তাঁর মৃত্যু কতটা ভয়ানক, তা উঠে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। জনা গিয়েছে, গাড়ির চাকায় পা আটকে যাওয়ার পর সেভাবেই ১২ কিমি রাস্তার সঙ্গে ঘষা খেতে খেতে যেতে হয়েছিল অঞ্জলিকে। এর জেরে মাথা ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল অঞ্জলির। তাঁর মাথা ঘিলু মেলেনি। থেঁথলে গিয়েছিল খুলি। ভেঙে গিয়েছিল তাঁর শিরদাঁড়া। অঞ্জলির শরীরের ৪০টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। বেশ কিছু অংশ ঘষা লেগে, পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। অঞ্জলির পিঠের দিক থেকে বেরিয়ে এসেছিল ফুসফুসও বেরিয়ে এসে দেহের বাইরে ঝুলছিল। পিঠের চামড়া উঠে যায়। এর আগে তরুণীর মায়ের অভিযোগ ছিল, মেয়েকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এর কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতার যৌনাঙ্গে কোনও ধরনের আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

বন্ধ করুন