বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Sundarban: প্লাস্টিক দূষণ রোধে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল বনবিভাগ

Sundarban: প্লাস্টিক দূষণ রোধে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল বনবিভাগ

প্রতীকী ছবি

বারবার বলেও প্লাস্টিক দূষণ রোধে পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সেদেশের এক বনকর্তা।

প্লাস্টিকদূষণ রুখতে ভারত সীমান্ত লাগোয়া সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ বনবিভাগ। সেদেশের ভারত সীমান্ত লাগোয়া সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বারবার বলেও প্লাস্টিক দূষণ রোধে পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সেদেশের এক বনকর্তা।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়ি গোয়ালিনী স্টেশন আধিকারিক নুরুল আলম জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৪০০ – ৫০০ জন পর্যটক ট্রলারে করে সুন্দরবন দেখতে যান। তাঁরা সঙ্গে করে প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটে খাবার, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের থালা - গ্লাস ইত্যাদি নিয়ে যান ও ব্যবহারের পর নদীর চর ও নদীবক্ষে সেগুলি ফেলে আসেন। এই প্লাস্টিক দূষণের ফলে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা ট্রলার মালিকদের বারবার এব্যাপারে সতর্ক করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি।

ওদিকে ট্রলার মালিকদের সংগঠনের নেতা আবদুল আলিম বলেন, ‘ট্রলারে উঠলেই পর্যটকদের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার ব্যাপরে সতর্ক করা হয়। জানানো হয়, ডাস্টবিন ছাড়া কেউ যেন অন্য কোথাও প্লাস্টিক না ফেলেন। কিন্তু প্রায় কেউই এসবে কান দেন না। তাছাড়া সুন্দরবনের ভিতরে বহু গ্রাম রয়েছে। সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার হয়। সেগুলো ভেসে নদীতেই আসে। আর দোষ হয় আমাদের ওপর। ট্রলার বন্ধ থাকলে ৩০০ মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন।’

তবে সেদেশের এক বনাধিকারিক জানিয়েছেন, প্লাস্টিক দূষণের গুরুত্ব বোঝাতে ট্রলার বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার চিঠি দিয়েও ট্রলার মালিকদের সতর্ক করা যায়নি। ট্রলার মালিকরা এব্যাপারে সচেতন হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

 

বন্ধ করুন