পঞ্জাবে ভরাডুবির পর কংগ্রেসে বড় রদবদল এসেছে। এই আবহে এবার দলের ‘সব পদ’ থেকে অপসারণ করা হল পঞ্জাবের কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল জাখরকে। পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেভি থমাসকেও ‘সব পদ’ থেকে সরানো হল। মঙ্গলবার কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে সোনিয়ার অনুমোদন আসে দুই নেতাকে সব পদ থেকে সরানোর। সূত্রের দাবি, জাখরকে দলীয় পদ থেকে অপসারণ ছাড়াও দুই বছরের জন্য বরখাস্ত করার সুপারিশ করে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তবে সোনিয়া গান্ধী নাকি জাখরকে বরখাস্ত করার সুপারিশ মেনে নেননি।
গতকাল একে অ্যান্টনির নেতৃত্বে কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই দুই নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সদস্য তারিক আনোয়ার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সুনীল জাখার এবং কেভি থমাস দুই নেতাই খুব প্রবীণ। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর কোনও পদক্ষেপ না করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল।’ পাশাপাশি তারিক এও অস্বীকার করেন যে জাখারকে বরখাস্ত করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল কমিটির তরফে। যদিও সুনীল জাখার কংগ্রেসের কোনও পদেই ছিলেন না। তবে কেভি থমাস দলের রাজনৈতি কমিটির সদস্য ছিলেন পাশাপাশি কেরলের এক্সিকিউটিভ কমিটিরও সদস্য ছিলেন। সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে সেই পদ থেকে অপসারিত হলেন থমাস।
এদিকে পদহীন জাখারকে ‘সব পদ’ থেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে তারিক আনওয়ার বলেন, ‘ভবিষ্যতে তাঁকে অন্য কোনও রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হবে না।’ এদিকে ‘অপসারণ’ নিয়ে দলকে পালটা কটাক্ষ করেন জাখার। তিনি বলেন, ‘প্রচার কমিটির প্রধান পদে ছিলাম আমি। নির্বাচনের পর তো সেই পদ নেই। তাছাড়া সাংসদ থাকার দরুণ সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটিতে ছিলাম। সাংসদ পদ খোয়ানোর পর সেই পদেও আমি নেই। কারণ আমি কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলাম না। তাহলে কোন পদ থেকে অপসারণ করলা দল আমাকে?’