হাইকোর্টগুলিকে কোনও বাধা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে হাইকোর্টে যেতে বলেছিল। শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা বিলম্বিত করল শীর্ষ আদালত।
দেশের ৬টি হাইকোর্টে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত মামলা চলছিল। উঠছিল বিভ্রান্তি ও দেরির অভিযোগ। এমন সময়ে বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা হিসাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিংয়ের উদ্দেশ্যে বেঞ্চ জানান, 'আপনি অর্ডারটি তো পড়েছেন। সেখানে কী মামলাগুলির বিচারভার হস্তান্তরের কোনও উদ্দেশ্য চোখে পড়েছে? আমাদের কথাটা বোঝার চেষ্টা করুন। অর্ডার পাঠের আগেও সেখানে উল্লেখ নেই, এমন বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। এইভাবেই সমগ্র প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে।'
এরপর গুজরাট হাইকোর্টের আইনজীবী সংগঠনের পক্ষের দুশ্যন্ত দাবের কাছে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে বলা হয়, 'আপনি অর্ডার না পড়েই আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন।'
প্রত্যুত্তরে দুশ্যন্ত বলেন, 'গোটা দেশের ধারণা ছিল যে আপনারা হস্তান্তর করবেন(হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে)।'
এর উত্তরে বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট বলেন, 'আমরা একবারও একটা শব্দও উচ্চারণ করিনি। আমরা হাইকোর্টদেরও বাধা দিইনি। আমরা কেন্দ্রকে হাইকোর্টে যেতে বলেছিলাম। আপনি কোন ধারণার কথা বলছেন?' এরপর বিকাশ সিং এ বিষয়ে একটি নোডাল এজেন্সি গঠনের পরামর্শ দেন। তারপরেই ফের ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মামলার শুনানি হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে জবাব জমা দেবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা।
অন্যদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় আইনি পরামর্শদাতার পদ থেকে এদিন অব্যাহতি চান আইনজীবী হরিশ সালভে। 'প্রধান বিচারপতিকে আমি স্কুল-কলেজ থেকে চিনি, এই পরিচিতির ছায়ার এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনা হোক, তা আমি চাই না,' জানান তিনি। তাঁর অব্যাহতির আর্জি মেনে নেন প্রধান বিচারপতি।