অন্য সব কিছু যখন খোলা আছে, তখন বিশেষ অনুষ্ঠানে মন্দির, মসজিদ ও গির্জা খুলতে অসুবিধা কী, শুক্রবার এই প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আদালত বলল আরতি বা দর্শনের অনলাইন স্ট্রিমিং দেখা আর মন্দিরে যাওয়া দুটো এক নয়।
বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলে যে সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দিতে অনুমতি দেওয়া যায় যদি যাবতীয় নিরাপত্তাবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম পালন করা হয়।
বিচারপতি মিশ্র বলেন যে ই-দর্শন কোনও দর্শনই নয়। তিনি বলেন যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কী দর্শন করতে দেওয়া যায় না। বিশেষ অনুষ্ঠানে মন্দির, মসজিদ, গির্জা খুলে রাখা উচিত বলে তিনি জানান।
শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেওঘরে বাবা বৈদ্যনাথের মন্দির ও বাসুকীনাথে বাবা বাসুকীনাথের মন্দির খোলার আপিল সংক্রান্ত পিটিশন শুনছিল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। তখনই এই কথা বলেন বিচারপতি। ঝাড়খণ্ড সরকার এই পিটিশনের বিরোধিতা করে বলেছে যে অনলাইনে দেখানো হবে পুজোর সমস্ত আচার অনুষ্ঠান। এই মামলা দায়ের করেছেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
তবে এই সংক্রান্ত কোনও অর্ডার দেয়নি শীর্ষ আদালত। কী করা যায় যাতে স্বল্প সংখ্যক দর্শনার্থী প্রতিদিন মন্দিরে যেতে পারে, সেটা ঝাড়খণ্ড সরকারকে দেখতে বলেছে আদালত। একই ভাবে মসজিদ ও গির্জার জন্যেও প্রক্রিয়া রূপায়ণ করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
শ্রাবণী মেলার সময় ভক্তরা গঙ্গাজল নিয়ে এসে বদ্রীনাথ মন্দিরে শিবের মাথায় দেন। কিন্তু ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট সাংসদের পিটিশন খারিজ করে দেন এটা বলে যে কোভিড পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টে ঝাড়খণ্ড সরকার বলে রাজ্যে পরিস্থিতি ভালো নয়। ফের লকডাউন হতে পারে। মন্দিরের সামনের গলিগুলি খুব সরু ও সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় না বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলে যে কিছু লোকজনকে কি দর্শন করার অনুমতি দেওয়া যায় না। পিটিশনকারীর আইনজীবী আবার বলেন যে মন্দিরের ভেতরে হাজার হাজার পাণ্ডা বসে থাকছে। এতেও ক্ষুব্ধ হয় আদালত। তারা রাজ্য সরকারকে বলে যে খুব বেশি সংখ্যক সেবায়েত যেন না থাকে মন্দিরে। তাহলে কোভিডের সম্ভাবনা বাড়বে।