গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পঞ্জাব সফরের সময় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত শুরু করল সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত কমিটি। কমিটির সদস্যরা রবিবার ফিরোজপুর শহরে পৌঁছায় এই ঘটনার তদন্ত করতে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে প্যানেল ফিরোজপুরের উপকণ্ঠে পিয়ারানা গ্রামে পরিদর্শন করে রবিবার। প্যানেলের সাথে জাতীয় তদন্ত সংস্থা, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং চণ্ডীগড় পুলিশের অফিসাররা ছিলেন। তাঁরাও তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। ঘটনার পর এটিই ছিল ওই স্থানে কমিটির প্রথম পরিদর্শন। চণ্ডীগড় ফিরে যাওয়ার আগে কমিটির সদস্যরা ফিরোজপুরে প্রায় তিন ঘণ্টা ছিলেন।
পঞ্জাবের ফিরোজপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষে সভাস্থলে না গিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে যায় মোদীর কনভয়। বিমানে ওঠার আগে পঞ্জাবের আধিকারিকদের কাছে মোদী নিজের অসন্তোষের কথা বুঝিয়ে দেন। উল্লেখ্য, ফিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে পড়ার ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে আঙুল তোলা হয়েছিল পঞ্জাব পুলিশের দিকে। এরপর পঞ্জাবের ডিজিপি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পদ থেকে সরানো হয়।
এরপর ঘটনার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কনভয় কাণ্ডে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার, কেউই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। বিশ্লেষকদের একাংশের মত, প্রধানমন্ত্রীর কনভয় কাণ্ডকে বিজেপি নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করলেও ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন হয়ে যাওয়া সেই বিষয়ে এখন আর ততটা সরব নয় গেরুয়া দল।
এদিকে এই ঘটনার তদন্ত শুরুর আগেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে যে সমস্ত আইনজীবীরা নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় গলতি নিয়ে মামলার পথে হেঁটেছেন তাঁরাও হুমকির ফোন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই সব হুমকি ফোনের নেপথ্যে ‘শিখস ফর জাস্টিস’ নামক নিষিদ্ধ সংগঠন আছে বলে অভিযোগ ওঠে।