জম্মু ও কাশ্মীরে ৪জি নেটওয়ার্ক সুবিধা ফের চালু করার আবেদন যাচাই করতে সোমবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। কমিটিতে থাকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্ মন্ত্রক ও যোগাযোগ মন্ত্রকের দুই সচিব এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সচিব।
এ দিন বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, উল্লিখিত কমিটি আবেদনকারীদের প্রস্তাবিত ৩জি ও ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা দানের বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থাগুলি খতিয়ে দেখে পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালুর বিষয়ে মতামত জানাবে।
গত ২৬ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে মোবাইল ডেটার স্পিড ২জি-তে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পুনরায় ৪জি পরিষেবা চালু করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় এনজিও সংস্থা ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রোফেশনালস। আবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কারণে করোনা সংক্রমণ রোধের উদ্দেশে সাম্প্রতিক সরকারি নিষেধাজ্ঞা, শর্তাবলী ও পরামর্শ জানতে অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ ছাড়াও চিকিৎসক ও রোগীরা।
গত ১০ জানুয়ারি দেওয়া একটি মামলার রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, তথ্যের নাগাল পাওয়া এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে ব্যসা-বাণিজ্য করা সংবিধান মতে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেই সুবাদে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
সেই নির্দেশ মেনে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপরে জারি করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত ৪,১৭ ও ২৬ মার্চ একাধিক নোটিশ জারি করে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। যদিও তাতে ২জি পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আবেদনকারীর দাবি, অতি ধীর গতির ২জি ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে শুধুমাত্র এসএমএস এবং এমএমএস বার্তা আদানপ্রদান করা সম্ভব। কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত নথি ডাউনলোড করার জন্য এই পরিষেবা অপ্রতুল।