সিবিআইয়ের নথিভুক্ত করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসারদের অন্তবর্তী সুরক্ষা দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না বা গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলা দায়ের করেছিলেন এক আইনজীবী। কলকাতায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অমিত কুমার আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আচরণের তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এম.এম. সুন্দরেশ কলকাতা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসারদের অন্তবর্তী সুরক্ষা প্রদান করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হেয়ার স্ট্রিট থানায় অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন অমিত কুমার। অভিযোগ ছিল, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বিচারাধীন জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজীব কুমার জোর দিয়েছিলেন। এরপর ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের উপযুক্ত ধারায় আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। পরে এনিয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমিত কুমার আগরওয়াল। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অজ্ঞাত পরিচয় আধিকারিকদের গ্রেফতারের জন্য অনুমতি দিয়েছিল ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট।
পরে ২০২২ সালে আগস্টে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরে রাজীব কুমারকে চাপ দেওয়া হয় যে তাঁর সঙ্গে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি সরকারি আধিকারি, ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শিজাফ পর হাইকোর্ট সিবিআইকে আগরওয়ালের আচরণের প্রাথমিক তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।