'দেশের বিচার ব্যবস্থা সংস্কারমুখী।' ১১৩ জন যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্ত আসামীকে আগাম মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, 'আমাদের দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সংস্কারমুখী এবং এটি অপরাধীদের শাস্তি দিতে চায় না।'
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, 'শাস্তির ধারণাটি সংস্কারমূলক হতে হবে।' বেঞ্চ আরও বলেছে, 'আমরা ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে চাই না। তাদের সংস্কার করে সমাজে ফেরত পাঠাতে হবে। যেকোনও নীতির ক্ষেত্রেই সংস্কারের এই দিকটি বিবেচনা করতে হবে।' উত্তর প্রদেশের ১১৩ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের আগাম মুক্তির জন্য দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এস আব্দুল নাজির এবং কৃষ্ণ মুরারির একটি বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই বিষয়ে বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়।
এই বছরের গোড়ার দিকে দাখিল করা আসামীদের আবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১ অগস্ট উত্তরপ্রদেশ প্রিজনার্স রিলিজ অন প্রোবেশন অ্যাক্টের অধীনে জারি করা একটি আগাম মুক্তি নীতির উপর নির্ভর করে তারা মুক্তির আবেদন জানাচ্ছে। প্রতি বছর, প্রজাতন্ত্র দিবসে, রাজ্য ১৬১ ধারার অধীনে বন্দিদের সাজা মওকুফ করে। রাজ্যপালের ক্ষমা করার ক্ষমতার অধীনে এই ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করা হয়।
আবেজনকারীরা জানান, ২০১৮ সালের এই আইনের অধীনে ন্যূনতম ১৬ বছরের কারাদণ্ড পূর্ণ করায় তারা মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। তবে ২০২০ এবং ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের তালিকায় তাদের নাম ছিল না। তবে ২০১৮ সালের সেই আইনটি সংশোধন করা হয় ২০২১ সালে। বর্তমানে সংশোধিত আইনে বলা, শুধুমাত্র ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্যই আগাম মুক্তির বিষয়টি প্রযোজ্য।
রাজ্যের সংশোধিত নীতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে বিচারপতি এস আবদুল নাজির এবং কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ সোমবার বলে, 'আমরা মনে করি যে ২০১৮ সালের ১ অগস্টের অ-সংশোধিত নীতি আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত।'