সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল বিলকিস বানোর আর্জি। যিনি ২০০২ সালে গণধর্ষণের ঘটনায় দণ্ডিতদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন (রিভিউ পিটিশন) দাখিল করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত ১৫ অগস্ট বিলকিস ধর্ষণ মামলায় ১১ জন দণ্ডিতকে ছেড়ে দেয় গুজরাট সরকার। যারা জেলে ১৫ বছরের বেশি ছিল। ভারতের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন বিরোধী নেতারা। তারইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বিলকিস। নিজের আর্জিতে বিলকিস দাবি করেন, শীর্ষ আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন করে ওই ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে গুজরাট সরকার। যা সমাজের 'বিবেক নাড়িয়ে গিয়েছে' বলে দাবি করেন বিলকিস।
আরও পড়ুন: বারবার কেন উল্লেখ করছেন? বিরক্তিকর! বিলকিস বানোর আইনজীবীকে জানিয়ে দিল আদালত
ওই পিটিশনে ধর্ষণের বিস্তারিত বিররণ তুলে ধরা দিয়েছিল। বিলকিস দাবি করেন, ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার খবরে হতবাক গিয়েছেন তাঁর (বিলকিস ও তাঁর মেয়েরা)। পিটিশনে বলা হয়েছিল, 'দেশ যখন ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিল, তখন সব দণ্ডিতদের আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে তাদের মালা পরানো হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। তা থেকেই বর্তমান মামলাকারী (বিলকিস), পুরো দেশ ও দুনিয়া জানতে পারে যে দেশের অন্যতম জঘন্য অপরাধে দণ্ডিতদের আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনায় এক অন্ত্বঃসত্ত্বা মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার সময় (গোধরা ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পর) গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস। সেইসময় পাঁচ মাসের অন্ত্বঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর বয়স ছিল ২১। সেইসঙ্গে তাঁর তিন বছরের মেয়ে-সহ পরিবারের সাতজনকে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই মামলা সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। যা সাজার মেয়াদ বহাল রেখেছিল বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট।