জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে যে রিভিউ পিটিশন দাখিল হয়েছিল, তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছরের ডিসেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার বৈধতা দেয় শীর্ষ আদালত। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে একগুচ্ছ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। সেগুলি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ডিসেম্বরে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটায় কোনও ভুল আছে বলে মনে হচ্ছে না। তাই সেইসব পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকন্ত এবং বিচারপতি এএস বোপান্না।
শ্রীনগরে রেকর্ড ভোট
আর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেওয়ার বিষয়টি যখন সামনে এল, তখন দেশে লোকসভা নির্বাচন চলছে। চতুর্থ দফায় শ্রীনগরে ভোট হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে শ্রীনগরের প্রথম নির্বাচনে ভোটদানের হার ৩৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা ২৮ বছরে সর্বোচ্চ। ১৯৯৬ সালে শেষবার এত ভোট পড়েছিল শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে। সেই বছর ভোটদানের হার ছিল ৪০.৯ শতাংশ।
ছাপিয়ে গিয়েছে বারামুল্লাও
আর সোমবার রেকর্ড গড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অপর লোকসভা কেন্দ্র বারামুল্লাও। সেখানে ৩৯ বছরে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার বারামুল্লা লোকসভা কেন্দ্রে ৫৪.৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা ১৯৮৪ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। সেই বছর বারামুল্লা লোকসভা কেন্দ্রে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
৩৭০ ধারার জন্যই রেকর্ড ভোট, মত মোদীর
গত ১৩ মে শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে ‘রেকর্ড’ ভোটাদানের বিষয়টিকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সঙ্গে জুড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানান, শ্রীনগরে ভোটদানের হার উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে। সেজন্য ভোটারদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। আর সেই উৎসাহ বৃদ্ধির পিছনে ৩৭০ ধারা রদের অবদান আছে। ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার ফলে মানুষের ভয় কমেছে। তাঁরা ভোট দিতে বেরিয়েছেন।