প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য একটি পিটিশন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই পিটিশনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্য শেষ সুযোগ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি তিনটি হাই কোর্টে জমা পড়া এই ধরনের তিনটি পিটিশন নিজেদের কাছে স্থানান্তর করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে ২০২০ সালের অগস্টে দিল্লির বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এই প্রেক্ষিতে একটি আবেদন দায়ের করেছিলেন শীর্ষ আদালতে। আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সেই নোটিশের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। সেই মামলারই শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শুক্রবার তিনি কেন্দ্রের তরফে এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য আরও এক সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল মন্তব্য করেন, ‘আপনি কি এক সপ্তাহের মধ্যে এটা করতে পারবেন? কারণ আপনি এখনও পর্যন্ত এটি করতে পারেননি।’ তবে কটাক্ষ করলেও আদালত কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্য সময় বাড়িয়ে দিয়েছে এবং বলেছে, ‘জবাব দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হচ্ছে। এটা শেষ সুযোগ।’
জনস্বার্থে দায়ের আবেদনে উপাধ্যায় ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায় - মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সি সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। যদিও উপাধ্যায়ের আবেদন অনুসারে, লাদাখে হিন্দুরা মাত্র ১%, মিজোরামে ২.৭৫%, লাক্ষাদ্বীপে ২.৭৭%, জম্মু ও কাশ্মীরে ৪%, নাগাল্যান্ডে ৮.৭৪%, মেঘালয়ে ১১.৫২%, অরুণাচলপ্রদেশে ২৯%, পাঞ্জাবে ৩৮% এবং মণিপুরে ৪১.২৯%। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দাবি, সংঘ্যাগুরু হয়েও এই সব রাজ্যে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যালঘুদের সুযোগ সুবিধা পান। তাঁর বক্তব্য, সর্বভারতী স্তরে এভাবে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার জন্য বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সব রাজ্যে।