করোনা সংকটের মধ্যে তামিলনাডুর স্টারলাইট কপার প্ল্যান্টের অক্সিজেন উৎপাদনকারী ইউনিটটি খোলার আদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।এর আগে তামিলনাডু সরকার এই অক্সিজেন উৎপাদনকারী ইউনিটটি ৪ মাসের জন্য খোলার অনুমতি দেয়।এই ইউনিটটি চালু হলে দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান,‘এই প্ল্যান্টটি শুধুমাত্র অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে।অন্য কোনও ক্ষেত্রের জন্য নয়।’ এদিন স্টারলাইট সংস্থার তরফে আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, স্টারলাইটে যে অক্সিজেন ইউনিটটি আছে তা ১০ দিনের মধ্যে অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারবে।আইনজীবীর এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জানান, দেশে এখন জাতীয় বিপর্যয় নেমে এসেছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশে যেভাবে অক্সিজেন জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, সেই কথা মাথায় রেখেই শীর্ষ আদালত এই অনুমতি দিয়েছে।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাডু সরকারকে অনুমতি দেয়, যাতে সরকারের তরফে ইউনিটটি খুলে অক্সিজেন উৎপাদনের কাজ চালু করা হয়।শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরোধিতা করে স্টারলাইন প্ল্যান্টটির মালিক বেদান্ত সংস্থা।তাঁদের বক্তব্য ছিল, ওই অক্সিজেন প্ল্যান্টটির চালু করার ক্ষমতা তামিলনাডু সরকারের নেই।এরপরই বেদান্ত সংস্থার তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়, যাতে প্ল্যান্টিটির অক্সিজেন ইউনিটটিকে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।এদিন সেই অনুমতি দিল আদালত।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু পর স্টারলাইন প্ল্যান্টটি বন্ধ হয়ে যায়।কপার প্ল্যান্টটি চালানোর জন্য পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে,এরই প্রতিবাদে আন্দোলন চলছিল।গত কয়েকবছর বন্ধ থাকার পর গত বছর বেদান্ত সংস্থা প্ল্যান্টটি চালুর জন্য মাদ্রাজ হাই কোর্টে আপিল করে।কিন্তু হাই কোর্ট তা খারিজ করে দেয়।চলতি বছরের জানুয়ারিতেও প্ল্যান্টটি চালুর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়।কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও খারিজ করে দিয়েছিল।