বিচারবিভাগে নিয়োগ নিয়ে গড়িমসির জন্য কেন্দ্রকে চরম বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার কড়া ভাষায় বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং বিচারপতি এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, ১০ দিন দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিচারপতিদের বদলির ক্ষেত্রে কোনওরকম গড়িমসি করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার অ্যাটর্নি জেনারেল এন বেঙ্কটরামানির কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, গত ডিসেম্বরে পাঁচজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে উত্তীর্ণ করার যে সুপারিশ করেছিল কলেজিয়াম, তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কখন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) জানান, 'শীঘ্রই' সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, যেহেতু এখনও পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে, তাই পাঁচদিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানাচ্ছেন এজি। যদিও এজি দাবি করেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে মন্তব্য করতে পারেন বিচারপতিরা।
এজির সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কৌল বলেন, 'এটা তো হয়েই যাচ্ছে। কখন সেটা (শেষ) হবে? সার্বিকভাবে বছরের পর বছর কাজ এগোচ্ছে না।' সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আশাপ্রকাশ করে যে আগামী সপ্তাহের শুক্রবারের মধ্যে 'সুখবর' মিলবে। যদিও আরও সময় চান এজি। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি কৌল বলেন, 'ঠিক আছে, ১০ দিন দিচ্ছি। পাঁচজন বিচারপতি, বদলি এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়ে আমার বক্তব্য গ্রহণ করছি। সেটা নিয়ে আপনাকে ১০ দিন দিচ্ছি।'
শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতিদের বদলি নিয়ে কলেজিয়ামের সুপারিশের বিষয়টিও উঠে আসে। ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, 'যদি বদলির আদেশ কার্যকর না হয়, তাহলে আমাদের থেকে কী চান? তাঁদের কি কাজ থেকে তুলে নেওয়া হবে? আমরা যদি মনে করি যে এ কোর্টের পরিবর্তে কারও বি কোর্টে কাজ করার কথা.....এটা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্নপূর্ণ বিষয়। কয়েকটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে বাধ্য করবেন আপনি। আমি বুঝতে পারছি যে নয়া নিয়োগ নিয়ে আপনার কিছু বলার আছে। কিন্তু বদলি নিয়ে কী বলার আছে? এটা গুরুতর বিষয়।'
ওই মামলা কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এজি আর্জি জানানোর পর শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ কড়া ভাষায় জানায়, কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশনামায় শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে কোনওরকম বিলম্ব হলে প্রশাসনিক এবং বিচারবিভাগীয় পদক্ষেপ করা হবে। যা মোটেও ভালো হবে না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদে আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (যিনি কলেজিয়াম প্রথা নিয়েও একাধিবার ফোঁস করেছেন) জানান, আদালতে বিচারপতিদের শূন্যস্থান পূরণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া যাবে না। কারণ সম্ভাব্য শূন্যপদ পূরণ নিয়ে ছ'মাস আগেই জানানোর নিয়ম ভঙ্গ করেছে দেশের একাধিক হাইকোর্ট।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)