মন্দিরের সম্পত্তির মালিক কে? দেবতা না পুরোহিত? এই প্রশ্নেই মামলা গড়িয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, মন্দির থাকবে দেবতারই। পুরোহিত মন্দিরের সম্পত্তির দেখভাল করতেই পারেন। কিন্তু তা কখনই নিজের বলে দাবি করতে পারেন না। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেই আবেদনের শুনানিতে এই রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ঠিক কী নিয়ে হয়েছিল মামলা? জানা গিয়েছে, ভূমিশ্বরের অধিকার কার দখলে থাকবে? তা নিয়ে পুরোহিতরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পুরোহিতরা আর মন্দিরের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করতে পারবেন না। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, মন্দিরের সম্পত্তি পরিচালনার উদ্দেশ্যে পুরোহিত শুধু জমি সংক্রান্ত কাজ করতে পারেন। ‘মালিক’ কে? এই প্রশ্ন দেখা দিলে বলতে হয়, সেটা দেবতা নিজে। তবে মন্দির তদারকির কাজ পুরোহিতের হাতেই ন্যস্ত থাকবে।
এই বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, ব্যক্তিগত মন্দির এবং জনসাধারণের মন্দিরের ধারণাও স্পষ্ট করেছে। সুতরাং আর যেন ভবিষ্যতে এই সংক্রান্ত কোনও জটিলতা দেখা না দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, বাড়িতে যে ঠাকুরঘর বা মন্দির থাকে সেটা বাড়ির মালিকের। কিন্তু জনসাধারণের জন্য যে দেবতার মন্দির তৈরি হয় বা থাকে তার মালিক স্বয়ং ঈশ্বর। পুরোহিতরা দেখভালের কাজে নিযুক্ত থাকবেন। মালিকানা দাবি করতে পারেন না।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়া একটি আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে। আদালত মধ্যপ্রদেশের আইন রাজস্ব কোড ১৯৫৯–এর অধীনে রাজ্য সরকারের জারি করা দুটি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল। ওই দুই বিজ্ঞপ্তিতে রাজস্ব রেকর্ড থেকে পুরোহিতের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুরোহিত যাতে মন্দিরের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করতে না পারে তাই ওই রায় দেওয়া হয়েছিল।