দশেরার ছুটির আগেই হিজাব সম্পর্কিত মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘স্প্লিট’ রায় দিয়েছেন এই মামলার প্রেক্ষিতে। অর্থাৎ, এখনও হিজাব মামলার প্রকৃত ফলাফল স্পষ্টচ নয়। রায়দান করে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত বলেছেন যে ‘মতের ভিন্নতা’ ছিল। এই আবহে মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠানোর দায়িত্বভার প্রধান বিচারপতিকে দিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়াঁর বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি এই মামলাটিকে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠাবেন। জানা গিয়েছে, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত আবেদন খারিজ করার পক্ষে রায় দেন এবং হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। এদিরে বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়াঁ আবেদন অনুযায়ী হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দেন।
এর আগে শুনানি চলাকালীন ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্ণাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা দাবি করেন, কোরানে উল্লেখ থাকলেই কোনও প্রথা জরুরি হয় না। শুধুমাত্র যে প্রথাগুলি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে সেগুলি জরুরি বলে বিবেচনা করা হয়। তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ভিত্তিতে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এদিকে মামলার শুনানি চলাকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বেক্ষণ করেছিল শীর্ষ আদালত। বলা হয়েছিল, ‘ক্লাসে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হলে তা দেশের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরার একটি সুযোগ এবং এতে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই দেশের বৈচিত্র্য সম্পর্কে অবগত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, হিজাব বিতর্ক নিয়ে কর্ণাটক হাই কোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। কর্ণাটক হাই কোর্ট এর আগে রায় দেয়, হিজাব মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সেই ক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজের ইউনিফর্ম মেনেই পড়ুয়াকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে হবে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পড়ুয়ারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষ হয় আজ। এই আবহে হিজাব মামলা কোনদিকে মোড় নেয়, তা দেখার জন্য সবার নজর ছিল শীর্ষ আদালতের দিকেই।