করোনা ভাইরাসকে অজুহাত করে অগ্রিম জামিন দেওয়া যায় না। এদিন এরকমই জানাল সুপ্রিমকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, করোনার কারণে কেউ মৃত্য়ু র আশঙ্কা করছেন, শুধুমাত্র এই কারণে তাঁকে কোনও ভাবেই আগাম জামিন দেওয়া যায় না। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে এর আগে একটি রায়দান করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ যাতে আদালতের তরফে বলা হয়, করোনা আবহে কারও যদি মনে হয়, তিনি ভিড়ে ঠাসা জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন, তাহলে এই ভয়ের কারণেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া যেতে পারে। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত৷
এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ সেই মামলার শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগাম জামিন দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই ব্যক্তিনির্ভর। সকলকেই এক কারণে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়৷ তাই এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সবক্ষেত্রে নজির হিসাবে গণ্য করাও সম্ভব নয়।
যে ব্য়ক্তির আগাম জামিনের আবেদনকে কেন্দ্র করে গোটা ঘটনার সূত্রপাত, তাঁর নাম প্রতীক জৈন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১৩০টি মামলা ঝুলে রয়েছে৷ করোনা আবহে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরবর্তীতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, জেলে যেহেতু প্রচুর বন্দি একসঙ্গে থাকেন, তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অভিযুক্তদের আগাম জামিন মঞ্জুর করা যেতে পারে।