স্কুলে সমস্ত কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার আবেদন দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে নোটিশ ইস্যু করল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। সংবিধানের ৩২ নং ধারার অধীনে সুপ্রিম কোর্টকে এই ইস্যুতে হস্পতক্ষেপ করার আবেদন করেছেন আবেদনকারী সমাজকর্মী। পাশাপাশি আবেদনকারীর আরও দাবি, প্রতিটি সরকারি স্কুলেই যেন মেয়েদের জন্য আলাদা বাথরুম থাকে এবং তাদের সাফাইয়ের জন্যও যেন লোক থাকে।
পিটিশন অনুসারে, শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য একটি বড় বাধা হল অপর্যাপ্ত ‘হাইজিন ম্যানেজমেন্ট’। স্যানিটেশন পণ্যের অভাব এবং এর সাথে যুক্ত ‘কলঙ্কে’র কারণে অনেক মেয়েকেই স্কুল ছেড়ে দিতে হয়। এই আবহে আদালত গোটা বিষয়টির গুরুত্ব স্বীকার করেছে এবং ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। ‘দশরা’র সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যানিটেশন সমস্যার কারণে প্রতি বছর প্রায় ২.৩ কোটি মেয়ে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই মেয়েদের জন্য ভালো টয়লেট না থাকার কারণে এই সমস্যা আরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই আবহে আবেদনকারীর দাবি, ‘ঋতুস্রাব সম্পর্কিত সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং এই বিষয়টি ঘিরে থাকা জড়তাকে দূর করতে হবে। এর জন্য সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধা এবং বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য সরবরাহ করতে হবে।’