'গ্রাম ন্যায়ালয়' স্থাপন সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সব হাই কোর্টের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে 'গ্রাম ন্যায়ালয়' স্থাপনের পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশনা দিতে বলে একটি আবেদন দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। বিচারপতি এসএ নাজির এবং ভি রামাসুব্রাহ্মণ্যনের একটি বেঞ্চ সমস্ত হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নোটিশ জারি করেছে এবং তাদের এই মামলায় ‘পার্টি’ করেছে।
আবেদনকারী এনজিও ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ সোসাইটিজ ফর ফাস্ট জাস্টিস এবং অন্যদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ এদিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের সামনে দাবি করেন যে ২০২০ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অনেক রাজ্য এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, এই 'গ্রাম ন্যায়ালয়'গুলি এমন হওয়া উচিত যাতে লোকেরা আইনজীবীর প্রয়োজন ছাড়াই তাদের অভিযোগগুলি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়। ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল, ‘যেই রাজ্যগুলি এখনও গ্রাম ন্যায়ালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি, চার সপ্তাহের মধ্যে তা করতে হবে।’ পাশাপাশি উচ্চ আদালতগুলিকে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০০৮ সালে সংসদ এক আইন প্রণনয় করে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে 'গ্রাম ন্যায়ালয়' স্থাপনের বিধান এনেছিল। সামাজিক, অর্থনৈতিক কারণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সুযোগ থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই দিতে 'গ্রাম ন্যায়ালয়' স্থাপনের আইন আনা হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০০৮ সালের আইনের ৫ এবং ৬ ধারায় বলা হয়েছে যে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের সাথে পরামর্শ করে প্রতিটি 'গ্রাম ন্যায়ালয়'-এর জন্য একজন 'ন্যায়াধিকারী' নিয়োগ করবে। প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিকেই 'ন্যায়াধিকারী' হবেন।