একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিটিজেন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে জানানো হয়েছিল ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করা হোক। আর সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সমস্ত ধর্মীয় শোভাযাত্রা থেকে দাঙ্গা ছড়ায় এমন ছবি আঁকবেন না।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুসারে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহর বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যের আওতায় থাকা আইন শৃঙ্খলার সমস্ত ক্ষেত্র নিয়ে যাবতীয় প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্ট টেনে আনতে পারে না।
এনজিওর পক্ষে অ্যাডভোকেট সিইউ সিং জানিয়েছেন, কীভাবে এই শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়? এমনকী তরোয়ালের মতো অস্ত্র নিয়ে ধর্মীয় শোভাযাত্রা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তাদের দায় সবসময় এড়িয়ে যায়। এই ধর্মীয় শোভাযাত্রা থেকে দাঙ্গাও হয়েছে।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন,যদি অনুমতিটা ভুল হয় তবে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।
প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, কেন আমরা সবসময় এটা বলার চেষ্টা করি যে ধর্মীয় শোভাযাত্রা মানেই দাঙ্গা তৈরি করে। দেশে যেগুলো ভালো হয় সেগুলোও একটু দেখুন। গণেশ পুজোর সময় মহারাষ্ট্রের লাখো মানুষ জড়ো হন। তখন কি দাঙ্গা হয়!
প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, দেশ বৈচিত্রপূর্ণ। দেশের এক প্রান্তের সঙ্গে অপরপ্রান্তের মিল পাওয়া যায় না। এটাও বুঝতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবেই আদালত কার্যত মনে করিয়ে দিয়েছে দেশের বৈচিত্রের কথা। আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে সমস্ত ধর্মীয় শোভাযাত্রাই দাঙ্গার কারণ নয়। এভাবে শোভাযাত্রার সঙ্গেই দাঙ্গার ছবি আঁকা ঠিক নয়।