গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের সময় বিক্রি হওয়া BS-IV গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের উপরে জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে রেজিস্ট্রেশনের উপরে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকল কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রকের ই-বাহন পোর্টালে না-ওঠা ৩৯,৯৩৭টি গাড়ির ক্ষেত্রে।
নিজের দেওয়া রায় সংস্কার করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি বা আর গাভাই ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘যে সমস্ত গাড়ি গত মার্চ মাসে ই-বাহন পোর্টালের মাধ্যমে নথিভুক্ত হয়েছে এবং যে গাড়িগুলিকে অস্থায়ী নথিভুক্তিকরণ হয়েছে, তাদের রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া হল। তবে ই-বাহন পোর্টালে নথিভুক্ত না-হওয়া গাড়ির ক্ষেত্রে আমরা অনুমোদন দিতে পারব না।’
আদালতের এই সিদ্ধান্তের ভিত্তি কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রকের দেওয়া নথিভুক্ত করা গাড়ির তালিকা, যেখানে ওই সমস্ত গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে এবং মার্চ মাসের ১২ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে ই-বাহন পোর্টালে নথিভুক্ত হয়েছে। তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, ওই পোর্টালে মোট ১,৪৫,১৫২টি গাড়িকে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে এবং ২৯,৮৩৪টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এখনও বাকি রয়েছে। গতকাল আদালতের নির্দেশের বলে এবার বাকি গাড়িগুলি নথিভুক্ত করা যাবে।
এ ছাড়া বাকি ৫০,২৬১টি গাড়ির ক্ষেত্রে যে সমস্ত রাজ্য সরকার এখনও ই-বাহন পোর্টালে যোগাযোগ করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সড়ক মন্ত্রক। এই তালিকায় রয়েছে মধ্য প্রদেশ, তেলাঙ্গনা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও লাক্ষাদ্বীপ। এই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ১০.৩২৪টি গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ৩০,৯৩৭টি গাড়ি সম্পর্কে সবিস্তারে তথ্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রকের দাবি, মার্চ মাসের ১২ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে বাহন পোর্টালে মোট ৯,৫৬,০১৫টি গাড়ি বিক্রির হিসেব পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চার চাকা, তিন চাকা ও দুই চাকার গাড়ি। তালিকায় রয়েছে বাণিজ্যিক ও যাত্রীবাহী গাড়ি উভয়েই। দেখা গিয়েছে্, সবচেয়ে বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২৯ মার্চ (৭৮,৫২৫), ৩০ মার্চ (৯৪,০৫৪) এবং ৩১ মার্চ (৫৫,৩৩৪)।
ডিলারদের যুক্তি, ওই তিন দিন পঞ্জিকা অনুযায়ী শুভ চিহ্নিত হওয়ার কারণেই গাড়ি কেনার হার বাড়ে। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে চায়নি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।