মারাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের আইন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে আইনে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা ছাড়িয়ে সংরক্ষণ প্রদান করা হয়েছিল। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করতে পারে না কোনও রাজ্য।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে মারাঠা সম্প্রদায়ের জন্য যে আইন আনা হয়েছিল, তা সাম্যের নীতি লঙ্ঘন করেছে। মারাঠাদের সামাজিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি হিসেবে কেন বিবেচনা করা হবে, তার কোনও অভূতপূর্ব কারণ দেখাতে পারেনি রাজ্য সরকার। চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়ার যে আর্জি জানানো হয়েছিল, তাও বিবেচনা করে দেখতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
পাশাপাশি সংবিধানের ১০২ তম সংশোধনের বৈধতাও বজায় রেখেছে শীর্ষ আদালত। সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে, কেন্দ্রের হাতে এককভাবে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের চিহ্নিত করার ক্ষমতা আছে। কোনও রাজ্যে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের পৃথক তালিকা থাকতে পারে না। সামাজিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে শ্রেণিদের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা ক্ষমতার একমাত্র রাষ্ট্রপতির হাতে আছে। কোন শ্রেণির সেই তালিকায় রাখা হবে, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে সহায়তা করতে পারে অনগ্রসর শ্রেণির জাতীয় কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মারাঠা সংরক্ষণ আইন পাশ হয়েছিল। যা ১৬ শতাংশ মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের বিধান রেখেছিল। মারাঠাদের জন্য ওই ১৬ শতাংশ ব্যবস্থা হলে তা মোট ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা অতিক্রম করে যেত।