‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তাঁর পুত্র তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই মামলায় তাদের দুজনকে বেকসুর খালাস দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় অভিযুক্ত আরও দুজনকে বেকসুর খালাস করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করায় দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে খালেদা জিয়ার আর কোনও আইনি বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে অগস্টের মধ্যে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াল BNP
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তারেকসহ অন্যদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। অন্যদের বিরুদ্ধেও রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। যদিও তারেক ২০০৮ সাল থেকেই লন্ডনে আছেন। আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, এই বিভাগের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সকল আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। ফলে খালেদা সহ চারজন দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, জামিনে থাকা সমস্ত আবেদনকারীকে তাদের নিজ নিজ জামিনের বন্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে খালেদা দুটি আবেদন জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে। অন্যদিকে, সেলিমুল হক ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরাফুদ্দিন আহমেদ একটি করে আবেদন করেন।খালেদা জিয়া ও তারেকের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। তবে দুঃখজনকভাবে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছিল। তাঁর অভিযোগ, তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশেই এই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানসহ যারা আবেদন করতে পারেননি, তারাও খালাস পেয়েছেন।খালেদা ও তারেকের আরেক আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, আপিল বিভাগের রায়ে তাঁর মক্কেল ও অন্য অভিযুক্তরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আইনজীবী জানান, এই রায় প্রমাণ করেছে যে শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জন এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের মামলায় জড়িয়েছিলেন। সবকিছু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায় কমিশনকে জানাবেন। কমিশন সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।