যে মহিলারা তাঁদের জীবনসঙ্গী দ্বারা পরিত্যক্তা হয়েছেন, তাঁদের অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ থেকে মুক্তি দিতে গর্ভপাতের অধিকার দেওয়া উচিত। এই ইস্যুতে নিজের নির্দেশ রিজার্ভ রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ক ২৫ বছর বয়সী মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই বার্তা দেয় সুপ্কিম কোর্ট। 'মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৭১' আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ওই মহিলা দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।
লিভ ইন পার্টনারের পরিত্যাগ করার ২০ সপ্তাহ পরে যদি অবিবাহিত মহিলা অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের শিকার হন তাহলে তাঁর গর্ভপাতের অধিকারে অনুমোদন দিচ্ছে না 'মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৭১' আইন। সেই আইনকেই চ্যালেঞ্জ করেন ওই মহিলা। তবে বৈধব্য বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে মহিলাদের বিষয়ে এই নিয়মের বদল রয়েছে। জাস্টিস ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, জেপি পারদিওয়ালা, এএস বোপান্নার বেঞ্চ এই নিয়মের ফারাককে পরিলক্ষণ করেছেন। বেঞ্চ বলছে, যে মহিলা ডিভোর্স পেয়েছেন বা স্বামীহারা হয়েছেন স্বামীর মৃত্যুতে তাঁরাও কারোর সমর্থন যেমন হারিয়েছেন, তেমনই যে অবিবাহিত মহিলাদের জীবনসঙ্গীরা তাঁদের পরিত্যাগ করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি একই। আচমকা হার্ট অ্যাটাকের কারণ কী কী? সোনালীর মৃত্যুর পর সচেতন করছেন বিশেষজ্ঞরা
আদাল বলছে, এই বিধি যতটা বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে লাগু হয়, ততটাই অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে। বেঞ্চ বলছে, বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, এই নিরিখে সব মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহের সময়কাল ধরে নেওয়ার কথা। যে মামলা ঘিরে এই বক্তব্য আদালতের তরফে উঠে এসেছে, তা হল সেই মামলা এক ২৫ বছরের মহিলার। তিনি মণিপুরের বাসিন্দা। তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে সহবাসের সম্পর্কে ছিলেন। পরবর্তীকালে সেই ব্যক্তি মহিলাকে পরিত্যাগ করেন। এরপর এবছরের জুনে মহিলা গর্ভবতী হলেও তাঁকে আর ফিরিয়ে নেননি সেই ব্যক্তি। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। পরবর্তীকালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।