বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিতে পারে সশস্ত্র বাহিনী। আজ এক রায়তে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ২০১৮ সালে এক যুগান্তকারী রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা ব্যভিচারমূক কাজ অপরাধমূলক নয়। তবে সেই রায় সশস্ত্র বাহিনীর কোনও আধিকারিক বা জওয়ানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, যে ২০১৮ সালের রায়টি সশস্ত্র বাহিনীর আইনের বিধানগুলির সাথে সম্পর্কিত নয়। (আরও পড়ুন: ‘পিএম কেয়ারের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই’, আদালতকে ফের একই কথা বলল কেন্দ্র)
পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারপতি কে এম জোসেফ ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমার। বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়েছে, ব্যাভিচার নিয়ে ২০১৮ সালের রায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা এবং ফৌজদারি আইনের ১৯৮(২) ধারার ওপর ভিত্তি করে ছিল। তাছাড়া শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের রায়তে ব্যাভিচারকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আবেদন করা হয়েছিল যাতে ২০১৮ সালের রায় থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মন্ত্রকের যুক্তি ছিল, বাহিনীতে ব্যভিচারের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই আবহে আদালত মেনে নেয়, বর্তমান সময়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক একটি সমস্যা। বিয়ে ভাঙার অন্যতম কারণ হিসেবে ব্যভিচারকে মেনে নিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ব্যাভিচার আইনে সেনা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে সেনাবাহিনী। সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার করে দিল, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় সেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup