সরকারের অনুমোদন ছাড়াই সাধারণ নাগরিক হিসেবে মানহানির অভিযোগ দায়ের করতে পারেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি বা অন্য কোনও আইন প্রণেতা, সাংসদ, মন্ত্রী। সোমবার এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার দায়ের করা একটি ফৌজদারি মানহানির মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। বিজেপি সাংসদের সেই আবেদন খারিজ করে সিআরপিসির ১৯৯ নং ধারার স্পষ্ট ব্যাখ্যা করল বিচারপতি এস আবদুল নাজির এবং ভি রামাসুব্রমানিয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ।
নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানি মামলা খারিজের প্রেক্ষিতে মনোজ তিওয়ারির যুক্তি ছিল, সিআরপিসির ১৯৯ নং ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি, কোনও মন্ত্রী বা আইন প্রণেতাকে মানহানি মামলা দায়ের করার আগে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানায়, উল্লেখিত আইন অনুযায়ী, একজন পাবলিক প্রসিকিউটরকে সরকারি পদে থাকা ব্যক্তির পক্ষে বিচার শুরু করার জন্য রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে হবে। যদিও একজন আম নাগরিক হিসেবে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও মানহানির মামলা দায়ের করতে পারেন। মণীশ সিসোদিয়া সেটাই করেছিলেন। এই আবহে মণীশ সিসোদিয়ার করা মানহানির মামলার মুখোমুখি হতে হবে মনোজ তিওয়ারিকে।
এদিকে মণীশ সিসোদিয়া মানহানির মামলা করেছিলেন দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা বিজেন্দর গুপ্তর বিরুদ্ধেও। বিজেন্দরও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মানহানি মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন শীর্ষ আদালতে। তাঁর সেই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে একটি টুইট করেছিলেন বিজেন্দর। তার প্রেক্ষিতেই মামলা ঠুকেছিলেন মণীশ। তবে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ‘বিজেন্দর গুপ্তর টুইট পড়ে মনে হচ্ছে না যে মণীশ সিসোদিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত। এবং তাই এই টুইট মানহানীকর নয়।’ শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে বলে, ‘কেউ যদি এটা বলে, দুর্নীতি প্রমাণ করব... তালে তা মানহানিকর মন্তব্য নয়।’