২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকা রোধ করতেই সেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তবে সেই মামলায় আজও পর্যন্ত বিস্তারিত হলফনামা পেশ করতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকার। নোট বাতিলের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তির একদিন পর, অর্থাৎ, গতকাল সুপ্রিম কোর্টে নোট বাতিলের বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি ছিল। তবে সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি বিস্তারিত হলফনামা পেশের জন্য আরও কিছুদিন সময় চান। এতে বিরক্ত হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
পাঁচ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন - বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মণ্যন, এবং বি.ভি. নাগরত্না। এই আবহে বিচারপতি নাগরত্না বলেন, ‘সাধারনত, একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ কখনও এভাবে বারবার শুনানি স্থগিত করে না। আমরা একবার শুনানি শুরু করার পরে এভাবে কখনও উঠি না। এটা এই আদালতের জন্য খুবই বিব্রতকর।’
এদিকে ঘটনায় ক্ষমা প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল ভেঙ্কটরমনি বলেন, ‘আমরা হলফনামা প্রস্তুত করতে পারিনি। এর জন্য আমাদের এক সপ্তাহের মতো সময়ের প্রয়োজন। আমাদের সকলের জন্য পদ্ধতিগত উপায়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় হবে হলফনামাটি। অন্যথা, কাজের খেই হারিয়ে যেতে পারে। আমি এটি বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে পেশ করব... আমি গভীরভাবে দুঃখিত।’ এরপর আদালত শুনানি পিছিয়ে দেয়। এই মামলার আগামী শুনানি হবে ২৪ নভেম্বর। এদিকে সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, মামলার শুনানি ২৫ নভেম্বরও জারি থাকবে। যদিও ২৫ নভেম্বর ছুটির দিন। তবে বিচারপতি নাজির বলেন, ‘আমাদের জন্য ২৫ নভেম্বরও কর্মদিবস হবে।’