পণ মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে আগাম জামিন দেওয়ার শর্ত হিসেবে স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকার ড্রাফ্ট দিতে বলেছিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। তবে উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, পণ চেয়ে স্ত্রীর উপর অত্যাচারে অভিযুক্ত স্বামীর আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। আগাম জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট শর্ত আরোপ করে, অভিযোগকারী স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকার ড্রাফ্ট দিতে হবে, তবেই আগাম জামিন মঞ্জুর করা হবে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রবিকান্ত শ্রীবাস্তব।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিরুদ্ধে তার স্ত্রী এফআইআর রুজু করে। এই আবহে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারা, পণ বিরোধী আইনের ৩ ও ৪ নং ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়। এই আবহে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-এর ৪৮২ নং ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। তবে এই নির্দেশের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে যান অভিযুক্ত। অভিযুক্তর আবেদন গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, উচ্চ আদালতের নির্দেশের কোনও ‘যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা নেই’।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রস্তোগি এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ বলে, ‘আমরা দুই পক্ষের কৌঁসুলির যুক্তি শোনার পর বলতে চাই, আগাম জামিনের জন্য যে ১০ লাখ টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্ট জমা দেওয়ার শর্ত হাই কোর্ট রেখেছে, তার কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি আমরা। এই কারণে, আবেদনকারীর আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে এবং হাই কোর্টের কর্তৃক আদেশ স্থগিত করা হল।’ শীর্ষ আদালত বলে, ‘কোনও যুক্তি ছাড়া অভিযুক্তকে আগাম জামিনের শর্ত হিসেবে অ্যাড ইন্টেরিম (ক্ষতিপূরণ) দিতে বাধ্য করতে পারে না আদালত।’