আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তবে উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হল, সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। পাশাপাশি সুপ্রিম নির্দেশের পর, সঞ্জয় বসুকে জেরাও করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। এই আবহে চিটফান্ড মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন সরকারি প্যানেলভুক্ত আইনজীবী। (আরও পড়ুন: '১৫-১৬ তারিখ…', অপেক্ষা ঝড়বৃষ্টির, কালবৈশাখীর কালো মেঘ কবে কাটবে বাংলার টিকিট?)
প্রসঙ্গত, একটি চিটফান্ড মামলায় গত ১ মার্চ আলিপুর বর্ধমান রোডের এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই ফ্ল্যাটটি ছিল আইজনীবী সঞ্জয় বসুর। প্রায় ২৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলে। তদন্তকারীরা দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করেন তাঁকে। ইডি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইনজীবী স়ঞ্জয় বসুকে 'সুবিধাভোগী' আখ্যা দেয়। পরে ১০ মার্চ আইনজীবীকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ইডি-র নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হন সঞ্জয় বসু। গ্রেফতারির অশঙ্কায় তিনি আগাম জামিনেরও আবেদন করেন। ইডি-র নোটিশে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সঞ্জয় বসুকে জেরাও করতে পারবে না ইডি। এমনকী তাঁর বাড়ি বা অফিসে তল্লাশিও করতে পারবে না। (আরও পড়ুন: এবার বাংলায় তৈরি হবে 'স্লিপার ক্লাস' বন্দে ভারত! বরাত মিলেছে ৯৬০০ কোটির)
আরও পড়ুন: দু'টোর মধ্যে তালিকা পাঠাতে হবে, ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে জারি কড়া নির্দেশ
উচ্চ আদালতের প্রদান করা এই রক্ষাকবচের বিরুদ্ধের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে ইডি। অবশ্য শীর্ষ আদালত ইডিকে বলেছে, তবে অযথা ডেকে পাঠিয়ে হয়রানি করা যাবে না আইনজীবীকে। তাছাড়া ভিত্তি ছাড়াই সঞ্জয় বসুর অফিস কিংবা বাড়িতে তল্লাশি করা যাবে না। তবে মূল মামলা কলকাতা হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে।