সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল, খনিজের উপর যে রয়্যালটি দেওয়া হয়, তা কোনও কর নয়। আজ ৮-১ ব্যবধানে কেন্দ্রী সরকার এবং মামলাকারী খনি মালিকদের বিরদ্ধে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন এই ৯ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন - বিচারপতি ঋষিকেশ রায়, এ এস ওকা, জে বি পারদিওয়ালা, মনোজ মিশ্র, উজ্জল ভূয়ান, সতীশ চন্দ্র শর্মা, অগাস্টিন জর্জ মসিহ এবং জাস্টিস বিভি নাগরত্না। তাঁদের মধ্যে একমাত্র বিচারপতি নাগরত্নাই কেন্দ্রের পক্ষে রায় দেন। বাকি ৮ জন বিচারপতির রায় ছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: একধাক্কায় 'হাওয়া' ১ ট্রিলিয়ন ডলার! ২০ মাসে সবচেয়ে বড় ধস মার্কিন শেয়ার বাজারে)
আরও পড়ুন: ঢাকায় মৃত্যু এক হিন্দু ছাত্রীর, এখনও হিংসার বলি ২০১, আজ কেমন আছে বাংলাদেশ?
আজ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিজের এবং অন্য সাত বিচারপতির পক্ষে রায় পড়ে শোনান। সেখানে তিনি বলেন, সংবিধানের দ্বিতীয় তালিকার ৫০ নম্বর এন্ট্রির অধীনে খনিজ অধিকারের উপর কর বসানোর ক্ষমতা সংসদের নেই। উল্লেখ্য, খনিজের ওপরে রাজ্য সরকারগুলি সেস বসানোর বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার এবং খনিজ মালিকরা। তবে শীর্ষ আদালত জানাল, এমএমডিআর আইন অনুযায়ী, খনিজের ওপরে কর বসানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এদিকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নিজের রায়তে এও জানান, ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে রয়্যালটি-কে ট্যাক্স হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল, সেই রায় ভুল। (আরও পড়ুন: স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বেড়েছে ফ্যামিলি পেনশনারদের, কত লাভ হবে প্রবীণ করদাতাদের)
আরও পড়ুন: মিলল মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি, বাংলাদেশের পিচে চিনকে 'আউট' করল ভারত
অবশ্য বিচারপতি বিভি নাগরত্না নিজের রায়তে জানান যে একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই দেশে খনিজের ওপর কর বসানোর একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। এদিকে রাজ্যগুলিকে যদি খনিজের ওপর রয়্যালটি বা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অধিকার প্রদান করা হয়, তাহলে তাতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এর জেরে রাজ্যগুলির আইন প্রণয়নের ক্ষমতার প্রভাব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কাঁওয়ার যাত্রা বিতর্ক নিয়ে US আধিকারিককে প্রশ্ন পাক সাংবাদিকের, মিলল মোক্ষম জবাব
এদিকে এই রায় পূর্ববর্তীভাবে কার্যকর করা হবে কি না, তা নিয়ে আগামী ৩১ জুলাই ফের শুনানি হবে। যদি পূর্ববর্তী ভাবে এই রায় কার্যকর করা হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি আরও বেশি লাভবান হবে। কারণ এই সব রাজ্যে ইতিমধ্যেই খনিজের ওপর সেস ধার্য করার আইন রয়েছে।