সম্ভল মসজিদের মামলাটি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল নিম্ন ট্রায়াল কোর্টকে। আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত নিজেদের নির্দেশ জানিয়েছে, সম্ভল মসজিদের শাহি ইদগাহ কমিটি যতক্ষণ না হাইকোর্টে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত মামলাটি চালানো যাবে না ট্রায়াল কোর্টে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই অশান্তির আগুনে পুড়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। এই সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এদিকে আজ শুক্রবার সম্ভলে যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, তার জন্যে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ। সেখানে পরিস্থিতি বিগত দিনগুলিতে থমথমে থাকলেও আর হিংসার ঘটনা ঘটেনি। (আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় কনস্যুলেট আধিকারিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ট্রুডো সরকার)
আরও পড়ুন: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি, দাবি বাংলাদেশ সরকারের
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় নতুন করে শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়। আদালতের নির্দেশেই মুঘল জমানার এই মসজিদে সমীক্ষা চালানো হচ্ছিল। এই আবহে রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছে যান সমীক্ষক দলের সদস্যরা। সেই দলে ছিলেন জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া, পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বিষ্ণোই, মহকুমাশাসক বন্দনা মিশ্রা, সার্কেল অফিসার অনুজ চৌধুরী এবং তহসিলদার রবি সোনকর। সমীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিরাট বাহিনী এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। (আরও পড়ুন: আছে আরও তেল! পশ্চিমবঙ্গে ১০০ বর্গকিলোমিটার জমিতে খননের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্র)
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে রাজ্য ডিএ বাড়াবে, এরপর বাজেটেও থাকবে 'চমক', ৪ কিস্তিতে মিলবে বকেয়া
তবে পুলিশ নিয়ে সমীক্ষকরা সেই এলাকায় পৌঁছতেই উত্তেজনাছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। আর মুহূর্তে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয়রা। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। সেই সময় হামলাকারীদের কেউ কেউ গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। আজ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন বন্দুকে ব্যবহৃত আলাদা আলাদা বুলেটের শেল উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। এদিকে সংঘর্ষে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে নোটিশ সৌগত রায়ের, 'অসন্তুষ্ট' মমতা: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'ভাসুর মনে হয়…', বাংলদেশ নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের তোপ বামেদের,'কিউট' বললেন BJP নেতা
প্রসঙ্গত, স্থানীয় একটি আদালতের নির্দেশ অনুসারে সম্ভলের ওই মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর কেলা দেবী মন্দির কমিটির তরফ থেকে চনদৌসির একটি আদালতে মামলা রুজু করা হয়। মামলাকারীদের দাবি, সম্ভলের শাহি জামা মসদিজ আসলে শ্রী হরিনাথ মন্দির। যা সম্রাট বাবরের শাসনকালে, ১৫২৯ সালে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এই আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিচারক আদিত্য সিং ওই দিনই মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো সমীক্ষা হয় সেই মসজিদে।