তাজমহলের আসল ইতিহাস জানতে খোলা হোক এই স্থাপথ্যের সবকটি কক্ষ। এই দাবি জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চিকিৎসক। তবে তাজমহলের সব দরজা খোলার সেই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, এই আবেদন শুধুমাত্র প্রচারের স্বার্থে করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে হাই কোর্টেও এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তখন উচ্চ আদালত এই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই আবহে শীর্ষ আদালত বলে, হাই কোর্ট এই আবেদন খারিজ করে কোনও অন্যায় করেননি। এই আবহে বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন।
পিটিশনে বলা হয়েছিল, তাজমহল নির্মাণকারী যে শাহজাহান, এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এই আবহে তাজমহলের বেসমেন্টের ঘরগুলো খুলে ‘সত্য’ উদঘাটনের অনুরোধ করা হয়েছিল আবেদনে। নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা ব্যক্তির নাম ডঃ রজনীশ সিং। রজনীশের দাবি ছিল, তাজমহলের ‘ইতিহাস’ জানতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে তাজমহল মূলত শাহজাহান তৈরি করেছিলেন। এর আগে এলাহাবাদ হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন রজনীশ। তবে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। উচ্চ আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়েছিল যে তাজমহলটি মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মুমতাজ মহলের সমাধি হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল ১৬৩১ থেকে ১৬৫৩ সালের মধ্যে। তবে এটি ইতিহাসের দাবি মাত্র। এটা প্রমাণ করার জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সামনে আসেনি। এই নিয়ে নাকি এনসিইআরটি-কে প্রশ্ন করেছিলেন আবেদনকারী। তার জবাবে নাকি এনসিইআরটি বলেছিল, ‘শাহজাহানই যে তাজমহলের নির্মাণ করেছে, সেই সম্পর্কে কোনও প্রাথমিক সূত্র পাওয়া যায়নি।’ এদিকে মামলাকারীর দাবি, এই নিয়ে আরটিআই করা হলে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াও তাঁকে ‘সন্তোষজনক’ জবাব দিতে পারেনি।