২০০২ সালে গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ হওয়ার পর সেটি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফারুকের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জেলে আছে সে। তাই তার কারাদণ্ডের মেয়াদকে বিবেচনা করে এই আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করছে।’ যদিও এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন গুজরাট সরকারের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, ‘গোধরায় যা হয়েছিল তা এক জঘন্য অপরাধ ছিল। এতে ৫৯ জন মারা গিয়েছিলেন।’
তুষার মেহতা বলেন, ‘সাধারণ পাথর ছোড়ার ঘটনা ততটা গুরুতর অবরাধ বলে গণ্য হয় না। তবে এই ক্ষেত্রে ট্রেনের কামরা বাইরে থেকে বন্ধ করে পাথর ছোড়া হয়েছিল যাতে কেই বাইরে না বের হতে পারে। তাছাড়া সেখানে পৌঁছনো দমকলকর্মীদের লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হয়েছিল।’ প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছিল। সেই কামরায় ছিলেন করসেবকরা। সেই ঘটনায় ৫৯ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপরই গুজরাট জুড়ে দাঙ্গা বাঁধে। সেই দাঙ্গার বলি হয়েছিলেন ১০০০ জনেরও বেশি। এদিকে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১১ সালে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।
এদিকে তুষার মেহতার আপত্তি সত্ত্বেও ফারুককে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি নিজের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ফারুককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গত ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর হাই কোর্ট ফারুকের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। এদিকে আবেদনকারীর বক্তব্য, সে ২০০৪ সাল থেকে টানা ১৭ বছর কারাগারে রয়েছে।’ এর আগে ২০২২ সালের ১৩ মে আবদুল রহমান নামক অপর এক সাজাপ্রাপ্তকে ছয় মাসের জন্য জামিন দিয়েছিল আদালত। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণেই তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।