ডাক্তারি পড়ুয়াদের বার্ষিক ফি সাতগুড় বাড়িয়ে ২৪ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। এর বিরোধিতা করেন পড়ুয়ারা। মামলা গড়ায় শীর্ষ আদালতে। আর সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়।’ পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, টিউশন ফি সবসময় নাগালের মধ্যে হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের অন্ধ্র সরকার একলাফে মেডিক্যাল পড়াশোনার বার্ষিক ফি বাড়িয়ে ২৪ লক্ষ করে দিয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলা উঠেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টে। সরকারের ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল অন্ধ্র সরকার। সেখানেও জোর ধাক্কা খেল জনগন মোহন রেড্ডির সররকার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ এবং সুধাংশু ধুলিয়াঁর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালত নিয়েছিল, তাতে কোনও ত্রুটি নেই।
শীর্ষ আদালত বলে, ‘কোনও কোর্সের ফি নির্ধারণের সময় কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে – শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, পেশাদারি কোর্সের প্রকৃতি, পরিকাঠামোর খরচ, প্রশাসনিক ও সংস্থার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়, প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সংক্রান্ত খরচ, সংরক্ষিত শ্রেণি এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের জন্য ছাড়ের পরিমাণ... ইত্যাদি।’ শীর্ষ আদালত অন্ধ্র সরকারকে ভর্ৎসনা করে আরও বলে, ‘সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। বার্ষিক ২৪ লক্ষ টাকা টিউশন ফি আগের ফি-এর থেকে সাতগুণ বেশি। এভাবে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই ন্যায়সঙ্গত ছিল না। শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, যে এতে লাভ করা যাবে। টিউশন ফি সবসময়ই নাগালের মধ্যে হতে হবে।’