গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে একজন অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কি আবশ্যিক! তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। একপক্ষ মনে করেন অপরাধের গুরুত্ব বুঝে অপরাধীদের মনে ভয়ের সঞ্চার করার জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজন। অন্যদিকে, আরেকপক্ষ মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। তাদের মতে, দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে থাকলে অপরাধীর মানসিকতার সংশোধন সম্ভব। এই অবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে আদৌ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে দেশের শীর্ষ আদালত। এই মর্মে সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার রায় দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ অ্যাক্টকে আক্রমণ করার জন্য় ধর্মকে টেনে আনবেন না, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারপতিদের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা যায়। শীর্ষ আদালত মনে করে, কোনও অপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে নিজের সাফাইয়ের সব সুযোগ দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অর্থপূর্ণ সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্টতা থাকা প্রয়োজন।’ শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত গ্রহণ করবে।
মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাটি এতদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছিল। ১৭ অগস্ট মামলার রায় স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলাটি পাঠায় প্রধান বিচারপতি উদয় ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।