পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানান শুভেন্দুর আইনজীবী। সেই সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই আর্জি খারিজ করে।
প্রবীণ আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়ার আদালতের কাছে আর্জি জানান, জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি না হলে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। বেঞ্চ জানায়, মামলাটি শুনানির তালিকায় উল্লেখ ছিল না, পরে আবার উল্লেখ করা যেতে পারে। তখন এই মামলার শুনানি করা হবে। উৎসবের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটির পর ৫ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আবার কাজ শুরু করবে। তখন এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির গননা ইত্যাদি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলাকারীর অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতে জানায়, যেহেতু, ২০১১-র পর দেশে কোনও জনগননা হয়নি, তাই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণে ২৯ জুলাই ও ২ অগাষ্ট ২০২২ দু'টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গ্রাম ভিত্তিক অনগ্রসর শ্রেণির জনসংখ্যা নির্ণয়ে সমীক্ষার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই অন্যন্য অনগ্রসর শ্রেণির আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, গননা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তার যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট এও জানিয়ে দেয়, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে যে আবেদন শুভেন্দু অধিকারী করেছেন তা নিয়ে তিনি চাইলে পৃথক মামলা করতে পারেন। আদালত তা আলাদা ভাবেই শুনবে। এরপর পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি হাইকোর্ট।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup