আদালত নোটিশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু, সময় মতো সেই নোটিশের জবাব দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ফলত, সেই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাঁর বিরুদ্ধে ৬,০০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি বা পঞ্জি স্ক্যামে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের অবস্থান এবং বার্তা অত্যন্ত কঠোর ও স্পষ্ট। দেশের সুপ্রিম কোর্ট যখন কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নোটিশ পাঠাচ্ছে, তখন তাদেরও সময় মতো তাতে সাড়া দেওয়া উচিত।
কিন্তু, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যদি তেমনটা না করে, তাহলে আদালত তাদের অপেক্ষায় অনির্দিষ্টকাল বসে থাকবে না। কিংবা, তাদের বারবার অতিরিক্ত সময় দিয়ে মামলা দীর্ঘায়িতও করবে না। এক্ষেত্রে তাই ওই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর এজলাসে। সেই শুনানিতে ইডি-র তরফে নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চাওয়া হয়। কিন্তু, আদালত সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এম মুথুকুমারের আবেদনের ভিত্তিতে ইডি-র কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, সেই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ইডি-কে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, আদালত ইডি-কে ওই নোটিশ পাঠিয়েছিল গত ৬ সেপ্টেম্বর। ৪৫ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ - গত ২১ অক্টোবরের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ইডি সেই নির্দেশ না মানায় শুক্রবার অভিযুক্তের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মামলায় আগেও অতিরিক্ত সময় চেয়েছে ইডি। তা গ্রাহ্যও করা হয়েছে। যেমন - গত সেপ্টেম্বর মাসে যখন শুনানি হয়েছিল, তখনও ইডি বলেছিল, তার আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেই কারণেই গত ২৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল।
শুক্রবার আদালতে হাজির হয়ে ইডি-র আইনজীবী বলেন, তারা নোটিশের জবাব প্রায় সম্পূর্ণ করেই ফেলেছে। সেটি শেষ করতে আরও অন্তত দু'দিন সময় দেওয়া হোক। কিন্তু, আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি, অভিযুক্তেরও জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।