মাদ্রাসা ও বৈদিক স্কুলগুলিকে নিয়ে ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত আইনের একটি অংশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। আইনে শিশুদের শিক্ষার অবাধ ও আবশ্যিক অধিকার সংক্রান্ত আইনের অংশের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে বৈদিক পাঠশালা ও মাদ্রাসাগুলিকে। সেই অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে এই পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
জাস্টিস নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ এই মামলা তুলে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। পিটিশনার আইজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়কে সুপ্রিমকোর্ট সম্পূর্ণ ছাড় দিয়েছে এই বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের এই আইনে নতুন করে সংস্কার আনা হয় ২০১২ সালে। সেই সময়ই এই আইনের আওতা থেকে বাদ রাখা হয় মাদ্রাসা ও বৈদিক স্কুলকে। তারপর থেকে অই বিষয়ে কোনও বড় বিতর্ক খাড়া হয়নি। উল্লেখ্য, এই আইনের ১(৪), ১(৫) ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। সেই ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এই মামলা।
এমন মামলা দায়ের হতেই জাস্টিস নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, 'গত ১০ বছরে কিছু হয়নি। এই পিটিশন তুলে নিন আর হাইকোর্টে যান। সেক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে থাকবে হাইকোর্টের নির্দেশ।' উল্লেখ্য, এই মামলা নিয়ে পিটিশনারের দাবি ছিল যে একই সিলেবাসের আওতায় পড়াশোনা হলে একটি সমতার জায়গা তৈরি হবে শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক লক্ষ্য পূর্ণতা পাবে বলে দাবি করেন আবেদনকারী। তবে তার জবাবে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানায় যে, হাইকোর্টগুলি সামানভাবে দক্ষ এই সাংবিধানিক প্রশ্নে জবাব দেওয়ার জন্য। ফলে আবেদনকারীকে হাইকোর্টে আগে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।