দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর সুপ্রিম কোর্ট এই বছরের নিট পিজি এবং ইউজি কাউন্সেলিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল। তবে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত মামলা এখনও বিচারাধীন। এই আবহে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে EWS (অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণি) সংরক্ষণ যাতে না থাকে, এই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন চার চিকিত্সক। তবে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা আগামী বছরের জন্য প্রক্রিয়াটি স্থগিত করিনি। আমরা মার্চ মাসে বিষয়টি (শুনানির জন্য) রেখেছি এবং তাতে যা ঘটবে তার প্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের বিষয়টি পরিচালিত হবে। কিন্তু প্রক্রিয়া বন্ধ করা যাবে না।’
এর আগে ২৯ জুলাই কেন্দ্র এক নির্দেশিকা জারি করে বলেছিল, ১৫% স্নাতক মেডিকেল কোর্সে ২৭% ওবিসি কোটা এবং ১০% EWS কোটা এবং সর্বভারতীয় কোটার অধীনে ৫০% পিজি আসন সংরক্ষিত থাকবে। এরপরই গত অক্টোবরে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর জেরে নভেম্বরে কাউন্সেলিং স্থগিত হয়ে যায়। যার জেরে সম্প্রতি আন্দোলনে নেমেছিলেন রেসিডেন্ট ডাক্তাররা। শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, ‘প্রতিবাদী ডাক্তারদের দাবি সঠিক।’ এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় যে পিজি কাউন্সেলিং চালু করা হবে। এই আবহে ইউডাব্লুএস সংরক্ষণ বাতিল করার দাবি জানিয়ে মামলা হলেও সেই আর্জি খারিজ হল শীর্ষ আদালতে।