'এক্সটারনাল ডেভেলপমেন্ট চার্জ' বা ইডিসি হিসাবে প্রতিটি রাজ্যসরকার এস্টেট ডেভেলপারদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করে তা সেই এলাকারই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে সংযুক্ত করার বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্ট জানিয়েছে, অন্য একটি শহর বা জেলাকে সেই টাকা থেকে বেশি 'আদর যত্ন' না করে, তা ওই এলাকারই পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
এদিন হরিয়ানা সরকারকে একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট একাধিক বার্তা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট হরিয়ানা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে যে, বিল্ডারদের কাছ থেকে যে ইডিসি সংগ্রহ হয় সেই টাকায় বিভিন্ন জেলায় কোন কোন উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে? একটি এলাকার ডেভেলপার ও বাসিন্দাদের জন্য এটা বৈধ চাহিদা যে এলাকার উন্নয়নে তাঁরা যে টাকা দিয়েছেন, তা থেকে কী উন্নয়ন হচ্ছে সেটা দেখতে চাওয়া।
উল্লেখ্য,ডেভেলপারদের থেকে গ্রহণ করা হয় এই ইডিসির টাকা। রাজ্যসরকারগুলি সেগুলি আদায় করে। রাস্তা, জল সরবরাহ, বিদ্যুতের কাজ, নিকাশী, নর্দমা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের নিরিখে একটি এলাকার থেকে EDC এর টাকা নেওয়া হয়। বিল্ডার পালাক্রমে প্রতি বর্গফুট ভিত্তিতে বাড়ির ক্রেতাদের কাছে ইডিসি পাস করে। এই সংক্রান্ত ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'প্রাথমিকভাবে, আমরা মনে করি যে ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য যুক্তিসঙ্গত উদ্বৃত্তের কথা মাথায় রেখে ইডিসির সংগ্রহ এবং সেই এলাকার ব্যয়ের মধ্যে একটি মিল থাকতে হবে।' জাস্টিস সঞ্জয় কিষণ কল ও এমএম সুন্দরেশের একটি বেঞ্জ তথ্যের অধিকার (আরটিআই) আইনের অধীনে একটি আবেদনের জন্য ২০১৭ সালে হরিয়ানা সরকারের দেওয়া একটি প্রতিক্রিয়া উদ্ধৃত করেছে । বিভিন্ন জেলা থেকে সংগৃহীত EDC এবং পরিকাঠামো বিকাশে ব্যয় করা অর্থের মধ্যে বিশাল ব্যবধান নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছে। এই মামলা চলাকালীন পেশ করা বিভিন্ন তথ্যে দেখা গিয়েছে, ৭১৫৫.৮ কোটি টাকা ব্যবহার করা হয় যা সংগৃহিত ইডিসির থেকে বেশি। একইভাবে ফরিদাবাদে কয়েকশো কোটি টাকা নিয়োজিত করা হয়। তবে আদালত দেখিয়েছে, কারনাল, যমুনানগর, পিঞ্জোর, হানসিতে সংগৃহিত ইডিসির দুই তৃতীয়াংশ খরচ করা হয়েছে।