'প্রতিবাদের অধিকার থাকলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা বন্ধ নয়'। কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, কৃষকদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা বন্ধ করে রাখা যাবে না। প্রতিবাদী কৃষকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে আনার আবেদনের প্রেক্ষিতে কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিক্রিয়া জানাতে চেয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৭ ডিসেম্বর। এর আগে তিন সপ্তাহের মধ্যে কৃষক সংগঠনগুলিকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে শীর্ষ আদালতকে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সিঙ্ঘু সীমানায় নৃশংস ভাবে খুন করা হয় একজনকে। এরপরই দিল্লি সীমানা থেকে কৃষক আন্দোলন সরানোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। আর্জিতে দাবি করা হয়, করোনা কালে আপাতত কোনও আন্দোলন করতে না দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে অগস্টেও একটি মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ দেয়, 'রাস্তা আটকে কোনও আন্দোলন করা যাবে না। তাতে আমজনতার সমস্যা হবে।' উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিগত প্রায় এক বছর ধরে দিল্লির সীমানায় বিক্ষোভ চালাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লির অন্দরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। পূর্ব ঘোষিত ট্র্যাক্টর ব়্যালির রুট ভেঙে কৃষকরা পৌঁছে যান লালকেল্লায়। কেল্লার শিখরে উঠে টাঙিয়ে দেন নিজেদের সংগঠনের পতাকা। এছাড়াও, ঐতিহ্যবাহী লালকেল্লায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বিস্তর। এরপর সিঙ্ঘু সীমানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ফের বিতর্কে জড়াল কৃষক আন্দোলন।