শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচারের ঘটনার রিপোর্ট না হওয়াও গুরুতর অপরাধের শামিল। একথা সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই ধরনের অপরাধের ঘটনাকে আড়াল করার যে কোনও রকমের প্রচেষ্টা কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে।
‘প্রিভেনসন অফ চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স’ বা পকসো আইনের আওতায় কোনও শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘিরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শীর্ষ আদালত বলছে, এমন যৌন নির্যাতনের ঘটনা জেনে শুনে যদি কেউ নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ দায়ের করা থেকে বিরত থাকেন, তাহলে তিনিও অপরাধের আওতায় পড়বেন। এজেন্সিগুলিতে যথাযথ সময়ে অভিযোগ দায়েরে ব্যর্থ হওয়া শিশু শোষণ হতে দেওয়ারই আরও একটি দিক বলে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ সঠিকভাবে সঠিক সময়ে দায়ের না হলে এই আইনের উদ্দেশ্য সফল হবে না বলেও বার্তা দিয়েছে বিচারপতি সিটি রস্তোগি, সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ।
স্কুল শিক্ষায় 'পারফরমিং গ্রেড ইনডেক্স'-এ পশ্চিমবঙ্গ কততম স্থানে? প্রথম তিনে কেরল
পকসো আইনের আওতায় শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা জেনেও রিপোর্ট না করলে তা ১ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা ডেকে আনতে পারে। আদালত বলছে, ‘যাতে শিশুদের স্বল্প বয়স অত্যাচার না দেখে, তাদের শৈশব, যৌবন যাতে নিরাপদে থাকে কোনও যেরকমের শোষণের থেকে’ তার উদ্দেশেই এই উদ্যোগ। আদালত সাফ বার্তায় বলেছে, ‘জ্ঞানত একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের রিপোর্ট না করা একটি গুরুতর অপরাধ এবং এটি যৌন নিপীড়নের অপরাধের অপরাধীদের রক্ষা করার একটি প্রচেষ্টা।’ মহারাষ্ট্র সরকারের দায়ের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক শিশুর যৌন নিপীড়নের কথা জেনেও তা পুলিশকে না জানানোর অভিযোগ ছিল। সেই মামলা নিয়েই একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।